কোপা আমেরিকার ফাইনালে আর্জেন্টিনা-ব্রাজিল, এগিয়ে কারা?
|
![]() মুক্তধারা ডেস্কঃ কোপা আমেরিকার স্বপ্নের ফাইনালে উঠেছে মেসির আর্জেন্টিনা ও নেইমারের ব্রাজিল। আগামী রোববার (১১ জুলাই) বাংলাদেশ সময় ভোর ৬টায় টুর্নামেন্টের ফাইনালে মুখোমুখি হবে ফুটবলের এই দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী। আসরের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে কলম্বিয়াকে টাইব্রেকারে হারিয়ে আর্জেন্টিনা ফাইনাল নিশ্চিত করেছে। বুধবার (৭ জুলাই) বাংলাদেশ সময় সকাল ৭টায় শুরু হওয়া ম্যাচে নির্ধারিত সময়ে ১-১ গোলে ড্র করে দুই দল। ম্যাচের সাত মিনিটে লিওনেল মেসির পাস থেকে একটি গোল দিয়ে লওতারো মার্টিনেজ আর্জেন্টিনাকে এগিয়ে দেন। এরপর ৬১তম মিনিটে লুইস দিয়াজ বা পাশ থেকে সরু কোণ থেকে গোল দিয়ে কলম্বিয়াকে সমতায় ফেরান। নির্ধারিত ৯০ মিনিট পর্যন্ত ১-১ গোলে সমতা বিরাজ করায় ম্যাচটি গড়ায় টাইব্রেকারে। পেনাল্টি শুটআউটে কলম্বিয়ার তিনটি শট রুখে দিয়ে ম্যাচে নায়ক বনে গেছেন আর্জেন্টিনার গোলরক্ষক মার্টিনেজ। আর এতে করে নিশ্চিত হয় ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার মধ্যে কোপা আমেরিকার স্বপ্নের ফাইনাল। ১৪ বছর পর বড় কোনো টুর্নামেন্টের ফাইনালে মুখোমুখি হচ্ছে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা। ২০০৭ সালে শেষবার কোপা আমেরিকার ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা। সেবার ব্রাজিল ৩-০ গোলের জয় পায়। তবে ২০১৯ কোপা আমেরিকার সেমিফাইনালেও ব্রাজিল আর্জেন্টিনাকে ২-০ গোলে হারিয়ে দেয়। ২টি বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টিনা এবং ৫টি বিশ্বকাপজয়ী ব্রাজিলের মধ্যে যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা তাতে কোপা আমেরিকায় এগিয়ে আর্জেন্টিনা। এখন পর্যন্ত ১৪ বার দক্ষিণ আমেরিকার সর্বোচ্চ শিরোপা জিতেছে আর্জেন্টিনা, ৯ বার জিতেছে ব্রাজিল। তবে টুর্নামেন্ট বা প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে ১০৭ বার মুখোমুখি হয়েছে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা। যেখানে ৪৮ বার জয় পেয়েছে ব্রাজিল, ৩৪টি ম্যাচে আর্জেন্টিনা জয় পেয়েছে। ২৫টি ম্যাচ ড্র হয়েছে। এই দুই প্রতিবেশী দেশ ঐতিহাসিকভাবেই ফুটবলে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী। বাংলাদেশের ফুটবল ভক্তদের একটা বড় অংশই এই দুই দেশের সমর্থক এবং বিশ্বকাপ বা কোপা আমেরিকার মতো আসর চলাকালীন বাংলাদেশের ফুটবল ভক্তদের মধ্যে একটা তুমুল উত্তেজনা কাজ করে। মেসি ও নেইমার প্রথমবারের মতো কোনো ফাইনাল ম্যাচে মুখোমুখি হবেন এবারের কোপা আমেরিকাতে। আর্জেন্টিনার লিওনেল মেসি এবং ব্রাজিলের নেইমার বার্সেলোনায় একসঙ্গে খেলেছেন, এই দুজনের সঙ্গে উরুগুয়ের স্ট্রাইকার লুইস সুয়ারেজের সমন্বয় বার্সেলোনাকে ইতিহাসের অন্যতম সেরা ফরোয়ার্ড লাইন আপের স্বীকৃতি দেয়। নেইমার বার্সেলোনা ছেড়ে ফ্রান্সের ক্লাব প্যারিস সেইন্ট জার্মেইয়ে যোগ দেওয়ার পরে লিওনেল মেসি তার অভাব অনুভব করেন বলে জানান। বার্সেলোনাও মাঝেমধ্যে নেইমারকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেছে। |