বাকেরগঞ্জে চাচার বিরুদ্ধে ভাতিজির শ্লীলতাহানির অভিযোগ, নেপথ্যে কাহিনী ভিন্ন
|
![]() মুক্তধারা প্রতিবেদক বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার দারিয়াল ইউনিয়নে ভাতিজিকে যৌন হয়রানির অভিযোগে চাচার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। ওই মামলায় জেল হাজতে রয়েছে উপজেলার দাড়িয়াল ইউনিয়নের দারিয়াল গ্রামের মৃত আব্দুল রাজ্জাক হাওলাদার এর ছোট ছেলে মাহবুব আলম। মামলাটি দায়ের করেছেন আসামীর বড় ভাই মোঃ মিরাজ হোসেন। তবে দারিয়াল ইউনিয়নে সরেজমিনে গিয়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে ভিন্ন কথা। নিকট আত্মীয়দের দাবি মূলত বসত ঘর দখল দখল নিতে বড় ভাই মিরাজ ছোট ভাই মাহবুবের বিরুদ্ধে নিজ মেয়েকে জড়িয়ে মামলা করেছেন। সরষি ফারি পুলিশ প্রাথমিক তদন্তেও এর প্রমাণ পেয়েছে। বাকেরগঞ্জ এর সরসি ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মাহবুবুল আলম বলেন, মামলাটির তদন্ত চলছে। প্রাথমিক তদন্তে এটা প্রমাণিত হয়েছে মূলত ঘর নিয়ে ঝামেলার কারণে এই ঘটনা ঘটেছে। তবে মামলার বাদি মোঃ মিরাজ হোসেন বলেন, তার ছোট ভাই মাহবুব এর আগে এরকম কোন ঘটনা ঘটায়নি। কিন্তু তার মেয়ের শ্লীলতাহানি হানি করেছে। ছোট ভাইকে ঘর ছেড়ে দেওয়ার বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন এটি ব্যক্তিগত বিষয় এ বিষয়ে কোন কথা বলবো না। মিরাজের নিকটাত্মীয় এবং একই বাড়ির বাসিন্দা মোঃ আলতাফ জানান, মাহবুবের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তার সত্যতা নেই। মাহবুব কোন দিন কোন মেয়ের দিকে তাকায়নি। আর নিজ ভাতিজির সাথে এরকম করবে তা বিশ্বাসযোগ্য নয়। জমিজমা নিয়ে বিরোধের জেরে এমন ঘটনা ঘটেছে। একই বাড়ির বাসিন্দা মোঃ ফারুক হোসেন জানান, কিছুদিন আগে মিরাজ ও মাহবুবের মধ্যে তাদের বসত করে নিয়ে বৈঠক হয়েছিল। ওই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছিল মিরাজ মাহবুবকে বসতঘর ছেড়ে দিবে। বৈঠকে যে সময় বেঁধে দেয়া হয়েছিল তা শেষ হয়ে গেছে। আমরা ওই বৈঠকে ছিলাম। আর ঘর যাতে ছাড়তে না হয় সেজন্য এমন ঘটনা ঘটেছে বলে আমরা ধারণা করছি। কারণ মিরাজ মাহবুব এর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ এনেছে তাতে মাহবুব জেলে থাকবে। তাই মিরাজকে ঘর ছেড়ে দেওয়ার জন্য চাপ দিতে পারবে না। |