আগৈলঝাড়ায় মৎস্য অফিসের মাঠ কর্মীর ভাতার টাকা আত্মসাৎ
|
![]() মুক্তধারা প্রতিবেদক
পুকুরের সংখ্যা জরিপের জন্য সরকারী নিয়ম অমান্য করে বরিশালের আগৈলঝাড়ায় মৎস্য অফিসের মাঠ সহায়ক কর্মী বাহিরের লোক দিয়ে পুকুর জরিপের কাজ করিয়ে ভাতার টাকা আত্নসাৎ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মৎস্য অফিসের ওই কর্মীর বিরুদ্ধে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা লিখন বনিক’র কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে জরিপকারী সমীর রায়। এঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সারা দেশের ন্যায় আগৈলঝাড়া উপজেলার ৫ টি ইউনিয়নের মধ্যে বাগধা ও বাকাল ইউনিয়নে পুকুর জরিপের কাজ করার সরকারী নিয়ম রয়েছে মৎস্য অফিসের দেশীয় প্রজাতির মাছ এবং শামুক সংরক্ষন ও উন্নয়ন প্রকল্পের মাঠ সহায়ক কর্মী প্রিশীলা অলি বায়েনের। সে সরকারী নিয়ম অমান্য করে নিজে মাঠে না গিয়ে উপজেলার আস্কর গ্রামের নির্মল রায়ের ছেলে সমীর রায়কে দিয়ে দুই মাস ধরে জরিপ কাজ করায়। প্রতিটি পুকুর জরিপ করার জন্য মৎস্য অফিসের ওই কর্মীকে সরকারী বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৪৫ টাকা। মৎস অফিসের মাঠ সহায়ক কর্মী প্রিশীলা অলি বায়েন ওই ৪৫ টাকা থেকে সমীর রায়কে ২৫ টাকা করে প্রতিটি পুকুর জরিপ করার জন্য দেওয়ার কথা হয়। এবং জরিপ কাজের জন্য সরকারী ভাবে মৎস্য অফিস থেকে একটি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন দেওয়া হলে মাঠ কর্মী প্রিশীলা অলি বায়েন সেটিও সমীর রায়কে কাজ করার জন্য দিয়ে দেন। সেই অনুযযায়ী ২ হাজার ২৪৯টি পুকুর দুই মাস ধরে জরিপ করে ৫৬ হাজার ২শত ১৬ টাকা দাবী করেন সমীর রায়। ওই টাকা মধ্যে সমীর রায়কে ৩১ হাজার ২শত টাকা দেওয়ার পরে তার বাকী থাকে ২৫ হাজার ১৬ টাকা। মৎস্য অফিসের মাঠ সহায়ক প্রিশীলা অলি বায়েন এর কাছে পাওনা টাকা চাইতে গেলে সমীয় রায়কে গালাগালসহ ভয়ভীতি দেখান। এমনকি পুলিশ দিয়ে হয়রানি করারও হুমকি দেন অলি বায়েন। জরিপের অতিরিক্ত ২০ টাকা করে অফিসে থেকে ৪৪ হাজার ৯শত টাকা উত্তোলন করেন মৎস্য অফিসের মাঠ সহায়ক প্রিশীলা অলি বায়েন।
এঘটনায় উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তার লিখন বনিক এর কাছে জরিপকারী সমীর রায় পাওনা টাকার জন্য মৎস্য অফিসের মাঠ সহায়ক কর্মী প্রিশীলা অলি বায়েন এর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা এঘটনা তদন্তের জন্য উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা সুশান্ত বালাকে নির্দেশ দেন।
এব্যাপারে অভিযুক্ত মৎস্য অফিসের মাঠ সহায়ক প্রিশীলা অলি বায়েন অফিসের বাইরের লোক সমীর রায়কে দিয়ে কাজ করার কথা স্বীকার করে সাংবাদিকদের বলেন, আমি সমীর রায়ের সস্পূর্ন টাকা পরিশোধ করে দিয়েছি।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মানিক মল্লিক সাংবাদিকদের বলেন, অফিসের বাহিরের লোক দিয়ে কাজ করানো ঠিক হয়নি। লিখিত অভিযোগের কপি পেয়েছি। তদন্তের জন্য উপজেলা সমাজসেবা কর্মকতার্কে নিদেশ দিয়েছে উপজেলা নিবার্হী কর্মকতার্ লিখন বনিক স্যার।
এব্যাপারে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা লিখন বনিক লিখিত অভিযোগ পাওয়ার সত্যাতা স্বীকার করে সাংবাদিকদের বলেন, অভিযোগকারীর লিখিত অভিযোগ তদন্তের জন্য সমাজসেবা কর্মকতার্কে নির্দেশ দিয়েছি। |