ছুটি শেষে ফিরে আসা যান্ত্রিক নগরীতে
|
![]() মুক্তধারা ডেক্স: সরকারি ছুটি শেষে গতকাল সোমবার (৩ আগস্ট) থেকেই শুরু হয়েছে অফিস। তবে মঙ্গলবার (৪ আগস্ট) ঢাকামুখী মানুষের চাপ বেশি দেখা যায়। কমলাপুর রেলস্টেশন, সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল, গাবতলী, মহাখালী ও সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালগুলোতে এদিন ঢাকায় ফেরা মানুষের ভিড় ছিল লক্ষ্যণীয়। মঙ্গলবার সরেজমিনে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে গিয়ে দেখা যায়, শত শত মানুষ দেশের দক্ষিণাঞ্চল থেকে ঢাকায় ফিরছেন। পটুয়াখালী থেকে ঢাকায় ফেরা মিজানুর রহমান বলেন, করোনার মধ্যে ঈদ খুব ভালো কাটানোতো সম্ভব না, তারপরও পরিবার-পরিজন আর বন্ধুদের সঙ্গে খুব ভালো কেটেছে দিনগুলো। আরও কয়েকদিন থাকার ইচ্ছা থাকলেও অফিস খুলে যাওয়ায় পারলাম না। বরগুনা থেকে ফেরা আমিনুল ইসলাম বাদল বলেন, গ্রামে মানুষ অনেক সুখে আছে। ঢাকার মতো করোনা করোনা করে ভয় পাচ্ছে না। দিনগুলো ভালো কাটছে। এখানে তো নদীর পাড়ে মাস্ক খুলে বাতাস নিতে পারছি না। বাচ্চাদের রেখে আসছি। আরও কয়েকদিন ভালো থাকুক ওরা। এদিকে করোনার প্রকোপ না কমলেও স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে অনেকটাই শিথিলতা দেখা যায় সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে। দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা থেকে ঢাকায় ফেরা অনেক লঞ্চেই যাত্রীদের হাত স্যানিটাইজ করার ব্যবস্থা ছিল না বলেই জানান অনেক যাত্রী। সেই সঙ্গ অনেকের মাস্ক পরার ব্যাপারেও অনীহা ছিল। তার ওপর ওপর বেশিরভাগ লঞ্চের ডেকেই গাদাগাদি করে যাত্রীদের বসে থাকতে দেখা যায়। এ বিষয়ে বিআইডব্লিউটিএ’র নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের ঢাকা নদী বন্দরের যুগ্ম পরিচালক আলমগীর কবির বলেন, লঞ্চ মালিকদের কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাত্রীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিতের বিষয়ে। হাত স্যানিটাইজের ব্যবস্থা রাখা বাধ্যতামূলক। আমরা বিষয়টি দেখছি। প্রায় একই রকম দৃশ্য চোখে পড়ে রাজধানীর মহাখালী বাস টার্মিনালেও। সেখানেও স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে ঢিলেঢালা মানসিকতা পোষণ করতে দেখা যায় বাস কর্তৃপক্ষ ও যাত্রীদের। নেত্রকোণা থেকে ফেরা সৈয়দ মিজানুর বাস কর্তৃপক্ষের ব্যাপারে অভিযোগ জানিয়ে বলেন, বাসে দুই সিটে একজন বসার কথা থাকলেও, তা মানা হয়নি। বাসে ওঠার সময় হাতও স্যানিটাইজ করায়নি তারা। শেরপুর থেকে ফিরেছেন সোলায়মান মিয়া। তার মুখে মাস্ক নেই। জানতে চাইলে তিনি বলেন, নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছিল, তাই খুলে রাখছি। সার্বিক পরিস্থিতি বিষয়ে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েতউল্লাহ বলেন, যাত্রী অনুসারে পর্যাপ্ত বাস রয়েছে। যারা ঢাকায় ফিরছেন, তাদের ফেরাটা নির্বিঘ্ন করার চেষ্টায় আছি আমরা। স্বাস্থ্যবিধি যথাসম্ভব মেনে চলা হচ্ছে বলে জানা গেছে। যদি স্বাস্থ্যবিধি না মেনে কেউ বাস চালায় সে ক্ষেত্রে বিআরটিএ’র ভ্রাম্যমাণ আদালত আছে, তারা ব্যবস্থা নেবে। এদিকে লঞ্চ ও বাস টার্মিনালের বিপরীত চিত্র ছিল কমলাপুর রেল স্টেশনে। সীমিত পরিসরে খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্তের পর থেকেই এ রেল স্টেশনে সুচারুভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা হচ্ছে। মঙ্গলবারও একই ধারাবাহিকতা ছিল। |