বাজার সিন্ডিকেট ও মাফিয়াদের দৌরাত্ম্য বন্ধে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সামনে বিক্ষোভ
|
![]() মুক্তধারা ডেস্কঃ বাজার সিন্ডিকেট ও মাফিয়া সন্ত্রাসীদের দৌরাত্ম্য বন্ধে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সামনে বিক্ষোভ করেছে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি। বিক্ষোভ সমাবেশে নেতারা বলেছেন, দৌরাত্ম্য দেখে মনে হচ্ছে, অসৎ ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটগুলোই সরকারকে নিয়ন্ত্রণ করছে, দেশ চালাচ্ছে। তাই দেশ ও জনগণকে রক্ষায় ফ্যাসিবাদী দুঃশাসনের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ গণসংগ্রাম গড়ে তুলতে হবে। আজ রবিবার ওই বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক। সমাবেশে বক্তব্য দেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, বাম জোটের সমন্বয়ক আবদুল্লাহ আল কাফি রতন, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা বহ্নিশিখা জামালী, আকবর খান, আবু হাসান টিপু, মাহমুদ হোসেন, রাশিদা বেগম, মোফাজ্জল হোসেন মোশতাক, শাহাদাৎ হোসেন খোকন, অরবিন্দু বেপারী বিন্দু ও ইমরান হোসেন। সমাবেশে সাইফুল হক বলেন, মুনাফাখোর অসৎ বাজার সিন্ডিকেট দেশের মানুষকে পুরোপুরি জিম্মি করে ফেলেছে। সরকারের মধ্যে যেন তারা আরেক সরকার কায়েম করেছে। সরকারের বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। স্বল্প আয়ের সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ চরমে উঠেছে। দেশ পরিচালনায় সরকারের রাজনৈতিক ও নৈতিক ক্ষমতা না থাকায় সামাজিক নৈরাজ্যের ভয়াবহ বিস্তৃতি ঘটছে। ক্ষমতাবানেরা কোনো কিছুকেই পাত্তা দিচ্ছে না। হাজী সেলিম ও তাঁর পুত্রের অশুভ তৎপরতা ক্ষমতার দম্ভ আর বেপরোয়া চরিত্রেরই প্রকাশ। লালমনিরহাটের বুড়িমারীতে মানুষকে পিটিয়ে মেরে ফেলে আবার আগুনে পোড়ানো বল্গাহীন নৈরাজ্যেরই প্রমাণ। একই কারণে রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক ছত্রচ্ছায়ায় ধর্ষক, দুর্নীতিবাজ, সন্ত্রাসী মাফিয়ারাও আজ বেপরোয়া। বস্তুত এরা দেশটাকে দখল করে ফেলছে। এ অবস্থার পরিবর্তন ঘটিয়ে ভাত ও ভোটের অধিকার নিশ্চিত করতে রাজপথে দেশপ্রেমিক শক্তির প্রতিরোধ জোরদার করার আহ্বান জানান তিনি। সমাবেশে মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, এই সরকারের আশ্রয়-প্রশ্রয়েই দুর্নীতিবাজ, নিপীড়কদের রাজত্ব কায়েম হয়েছে। বিরোধীদের ওপর রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস চালানো হচ্ছে। কিন্তু দেশের মানুষ আজ জেগে উঠছে। রাজপথের লড়াইয়ের মাধ্যমে এই সরকারকে বিদায় দেওয়া হবে। আব্দুল্লাহ আল কাফি রতন বলেন, এই ফ্যাসিবাদী সরকার আজ জনগণের জানমালের নিরাপত্তার অধিকার কেড়ে নিয়েছে। জনগণের গণতান্ত্রিক সংগ্রামের পথে ভোটের অধিকারসহ জনগণের বাঁচার দাবি প্রতিষ্ঠা করতে হবে। |