বাম জোটের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচিতে পুলিশের বাঁধা-লাঠিচার্জ
|
![]() মুক্তধারা ডেস্কঃ বন্ধ সকল রাষ্ট্রীয় পাটকল চালু ও আধুনিকায়নের দাবিতে সোমবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সমাবেশ শেষে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ঘেরাও এর উদ্দেশ্যে মিছিল বের করে বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতা-কর্মীরা। মিছিলটি শাহবাগ মোড়ে পুলিশ বাঁধা অতিক্রম করে শেরাটন মোড়ে পুলিশি ব্যারিকেডের মুখে পড়ে। এ সময় পুলিশ দুই দিক থেকে মিছিলটি ঘিরে ফেলে। নেতাকর্মীরা ব্যারিকেড ভেঙে যাওয়া চেষ্টা করলে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। এ সময় কয়েকজন আহত ও নারী কর্মী লাঞ্ছিত হয়। সেখানে পুলিশি ব্যারিকেডের মধ্যে অনুষ্ঠিত সমাবেশ থেকে আগামী ১৯ অক্টোবর রাজপথ অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। বাম জোটের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক বজলুর রশীদ ফিরোজের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তৃতা করেন সিপিবি’র সহকারী সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ জহির চন্দন, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন নান্নু, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, বাসদ (মার্কসবাদী) কেন্দ্রীয় নেতা আ ক ম জহিরুল ইসলাম, লতিফ জুট মিলের শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা সুলতান মৃধা ও করিম জুট মিলের শ্রমিক মো. গোফরান। সমাবেশে নেতৃবৃন্দ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমরা যখন প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচির সমর্থনে খুলনার শ্রমিকরা ভুখা মিছিল করার প্রস্তুতি নিচ্ছে, সেই সময় খালিশপুরে বাসদ ও শ্রমিক ফ্রন্ট কার্যালয়ে পুলিশি তল্লাশী ও ভুখা মিছিলের লিফলেট কেড়ে নেওয়া হয়। পরে আন্দোলনরত ৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। যা রাষ্ট্রের ফ্যাসিবাদী চরিত্রকেই প্রকাশ করে। দমন-পীড়ন-নির্যাতন ও গ্রেপ্তার করে, ভয় দেখিয়ে জনগণের আন্দোলনকে স্তব্ধ করা যাবে না বলেও তারা হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন। সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, এই সরকারের আমলে দুর্নীতি, লুটপাট, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, নারী-শিশু নির্যাতন-ধর্ষণ সকল রেকর্ড ছাড়িয়েছে। আওয়ামী লীগ দুর্নীতিলীগ-লুটেরালীগে এবং ছাত্রলীগ-যুবলীগ ধর্ষক লীগে পরিণত হয়েছে। ফলে বর্তমান সরকারের কাছে দেশ-জাতি ও জনগণ নিরাপদ নয়। দুর্নীতি-দুঃশাসনের অবসানের লক্ষ্যে সরকারের পতন ঘটানো ছাড়া কোনো বিকল্প নাই। সরকারের পদত্যাগের দাবিতে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য দেশের সকল গণতান্ত্রিক শক্তির প্রতি আহ্বান জানান নেতৃবৃন্দ। সমাবেশ থেকে বন্ধ সকল রাষ্ট্রীয় পাটকল চালু ও আধুনিকায়ণ, শ্রমিকদের সকল বকেয়া পরিশোধ, লোকসানের জন্য দায়ী মন্ত্রণালয় ও বিজেএমসি’র কর্মকর্তাদের বিচার, সরকারি-বেসরকারি সকল পাটকলে জাতীয় ন্যূনতম মজুরি ঘোষণার দাবিতে আগামী ১৯ অক্টোবর সারাদেশে রাজপথ অবরোধের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। এছাড়া খুলনায় বাসদ কার্যালয়ে পুলিশী তল্লাশী ও গ্রেপ্তারের ঘটনা এবং ঘেরাও মিছিলে পুলিশি বাধা ও লাঠিচার্জ এবং সারাদেশে অব্যাহত নারী নির্যাতন-ধর্ষণের প্রতিবাদে কাল মঙ্গলবার সারাদেশে বিক্ষোভ সমাবেশ সফল করার আহ্বান জানানো হয়। |