‘আমি মরি নাই, বেঁচে আছি স্যার’
|
![]() মুক্তধারা ডেস্কঃ তরতাজা একজন মানুষ পায়ে হেঁটে নির্বাচন কার্যালয়ে গিয়ে জানতে পারলেন তিনি বেঁচে নেই। নিজ কানে নিজের মৃত্যুর খবর শুনে হতভম্ব গাইবান্ধা সদরের বল্লমঝাড় ইউনিয়নের নারায়ণপুর গ্রামের ব্যবসায়ী বাবুল চন্দ্র বর্মণ। জাতীয় পরিচয়পত্রে একজন জীবিত মানুষকে মৃত দেখানোর পর অভিযোগ করেও জাতীয় পরিচয়পত্রে তাঁকে জীবিত করার উদ্যোগ নেয়নি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। পরিচয়পত্রে এমন ভুলের কারণে ব্যাংক ঋণ এমনকি ভিসা করতে না পারায় মানুষটির চিকিৎসা পর্যন্ত আটকে আছে। বাবুল চন্দ্র বর্মনের অভিযোগ, সম্প্রতি ব্যবসায়িক প্রয়োজনে ব্যাংকে ঋণ নিতে গিয়ে তিনি জানতে পারেন তার জাতীয় পরিচয়পত্রে ত্রুটি আছে। যার কারণে তাকে ঋণ দেওয়া সম্ভব নয়। এরপর পরিচয়পত্র নিয়ে বাবুল ছুটে যান গাইবান্ধা জেলা নির্বাচন কার্যালয়ে। সেখানে সার্ভারে সার্চ করার পর সংশ্লিষ্টরা জানান, পরিচয়পত্রে স্ট্যাটাস অপশনে তিনি মৃত। নিজের কানে নিজের মৃত্যুর খবর শুনে সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ করে প্রতিকার চান বাবুল। এরপর সপ্তাহ পার হলেও জাতীয় পরিচয়পত্রে এখনও তিনি মৃত। বাবুলের অভিযোগ, সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুল লতিফের কাছে গেলে সময় লাগবে জানিয়ে তিনি দুর্ব্যবহার করে বাবুলকে তাড়িয়ে দেন। পরে দুপুরে সময় সংবাদের প্রতিবেদকসহ গেলে তাকে কার্যালয়ে পাওয়া যায়নি। তার সহকর্মীরা জানান, তিনি খেতে গেছেন। পরে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুল মোত্তালিবের কাছে গিয়ে বাবুল আক্ষেপ করে বলেন, আমি বেঁচে আছি স্যার মরি নাই। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি জাতীয় পরিচয়পত্রে ত্রুটির ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার আশ্বাস দিয়ে বলেন, কেন এই ত্রুটি হয়েছে তা খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। |