আদালত চত্বরে জামায়াতের কার্যক্রম!
|
![]() মুক্তধারা প্রতিবেদকঃ বরিশাল জেলা জজ আদালতে আইনজীবীদের জন্য সংরক্ষিত বসার স্থান অ্যানেক্স ভবন। এতে ৫০০টির মতো কক্ষ রয়েছে। ভবনটির ৩৩২ নম্বর কক্ষটি আইনজীবী শাহজাদা পলাশের। তবে সেখানে চলে জামায়াতে ইসলামীর সাংগঠনিক কার্যক্রম। যদিও কক্ষটি একজন আইনজীবীর আইন-আদালতবিষয়ক কর্মকাণ্ড পরিচালনার কাজে ব্যবহার করার কথা। আইনজীবী শাহজাদা পলাশ জামায়াতে ইসলামীর একজন জ্যেষ্ঠ নেতা। তাঁর কক্ষে বরিশাল জেলা ও মহানগর জামায়াতের শীর্ষস্থানীয় নেতারাসহ জামায়াতপন্থী আইনজীবীরা নিয়মিত অবস্থান করেন। ২০১৯ সালে জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট ওবায়দুল্লাহ সাজু কক্ষটি শাহজাদা পলাশকে বরাদ্দ দিয়েছেন। জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ শুরা সদস্য অ্যাডভোকেট মুয়াযযম হোসাইন হেলালও প্রায় একই কথা বলেন। তাঁর ভাষ্য, সরকার রাজনীতি নিষিদ্ধ করার পর তাঁরা কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করেন না। তবে সাংগঠনিকভাবে সক্রিয় রয়েছেন। তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন মামলায় আসামি হওয়া নেতাকর্মীদের আইনি সহায়তা দেওয়া হচ্ছে, একই সঙ্গে যারা পারিবারিকভাবে অসচ্ছল, তাদের সহায়তা করছি। এটা আমাদের সাংগঠনিক কার্যক্রমের অংশ।’ সাংগঠনিক কার্যক্রম আদালতকেন্দ্রিক করা হচ্ছে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে মুয়াযযম হোসাইন বলেন, ‘আমাদের শতাধিক আইনজীবী রয়েছেন, যাঁরা জামায়াতে ইসলামীর নেতৃত্বের পদে রয়েছেন। তাঁরা নিয়মিত কোর্ট করেন। তখন তাঁদের সাক্ষাৎ হলে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়, এটাও সাংগঠনিক কার্যক্রমের অংশ।’ বরিশাল মহানগর বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক এবং বরিশাল জেলা আইনজীবী সমিতির সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবুল কালাম বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামীর শতাধিক আইনজীবী রয়েছেন, এ কথা সত্য। তবে নিয়মিত আদালত করেন ৩০ জনের মতো। তাঁদের রাজনৈতিক কর্মসূচি না থাকলেও তাঁরা আদালতের মধ্যেই সাংগঠনিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। এটা তাঁদের জন্য সহজতর হয়। কারণ অ্যানেক্স ভবনে এক নেতার কক্ষে বসেই নিরাপদে সাংগঠনিক আলোচনা করতে পারেন।’ বরিশাল জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি কক্ষটি বরাদ্দ দিয়েছেন জানিয়ে আফজালুল করিম বলেন, বরাদ্দ বাতিল করা না গেলেও আইনগতভাবে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া যায় কি না, বিষয়টি তাঁরা খতিয়ে দেখছেন। |