অক্সিমিটার অ্যাপে আঙুল ছোঁয়ালেই ব্যাংক থেকে গায়েব হচ্ছে টাকা
|
![]() মুক্তধারা ডেস্কঃ করোনাকালীন সব থেকে বেশি বিক্রি হতে দেখা গেছে বিভিন্ন সংস্থার অক্সিমিটার। অক্সিমিটারের হাত ধরেই এসেছে নানা রকমের অ্যাপ্লিকেশন, যার অধিকাংশই ভুয়া। কলকাতা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত এক মাসে সাইবার শাখায় জমা পড়া একাধিক অভিযোগে দাবি করা হয়েছে, শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা মাপা হচ্ছে ভেবে সেসব অ্যাপে আঙুল ছুঁইয়ে কেউ হারিয়েছেন ব্যাংক থেকে টাকা। কারও আবার ব্যক্তিগত ছবি, নথি, অন্য কারো কাছে চলে গিয়েছে বলে অভিযোগ। আলিপুর রোডের এক বাসিন্দার দাবি, অক্সিমিটার যন্ত্রের খোঁজ করতে গিয়ে জানতে পারেন, মোবাইল অ্যাপেই অক্সিজেন মাপা যায়। দেবাংশু ঘোষ নামে ওই ব্যক্তি বুধবার বলেন, ‘ওই অ্যাপ নামিয়ে ব্যবহার শুরু করতেই কল-লগ, ছবির ফোল্ডার-সহ বেশ কিছু জিনিস ব্যবহারের অনুমতি চাওয়া হয়। মনে হয়েছিল, এটা রুটিন। এর পরে অ্যাপের নির্দেশ মতো ফোনের সেটিং বদল করে ক্যামেরায় আঙুল ছোঁয়াতেই ফোন বন্ধ হয়ে যায়। সার্ভিস সেন্টারে গিয়ে ফোন খোলানোর পরে মেসেজ পেলাম, আমার অ্যাকাউন্ট থেকে ৬০ হাজার টাকা তোলা হয়েছে!’ পুলিশে দায়ের করা অভিযোগে এক তরুণীর দাবি, এই রকম অ্যাপ ব্যবহার করে তার ব্যক্তিগত ছবি অন্য কারো কাছে চলে গিয়েছে। ওই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করার হুমকি দেওয়া হচ্ছে তাকে। এক স্কুলশিক্ষিকার আবার অভিযোগ, তার স্বামী সেক্টর ফাইভের বেসরকারি সংস্থার কর্মী। সংস্থার কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি স্বামীর মোবাইলে ছিল। অক্সিমিটার অ্যাপ ব্যবহার করতে গিয়ে সে সব তথ্য বেরিয়ে গিয়েছে। পুলিশ সূত্রে আরো জানা যায়, মোবাইল অ্যাপ স্টোরে চোখ রাখলেই এখন অসংখ্য অক্সিমিটার অ্যাপ দেখা যাচ্ছে। সেগুলির অধিকাংশই তৈরি হয়েছে গত তিন মাসে। যাদের বেশিরভাগই বলছে, অ্যাপ নামানোর পরে ক্যামেরায় বুড়ো আঙুল ছোঁয়ালেই জানা যাবে শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা কত। কলকাতা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিনের চিকিৎসক অরুণাংশু তালুকদার বলছেন, ‘বাজারে বিক্রি হওয়া অক্সিমিটার যন্ত্র নিয়ে নানা অভিযোগ রয়েছে। তবে এই অ্যাপ নিয়ে আমার ধারণা নেই। বুড়ো আঙুল এবং তর্জনীতে রক্ত সঞ্চালন হয় রেডিয়াল আর্টারি দিয়ে। অনামিকা এবং মধ্যমার পাশের আঙুলে রক্ত যায় আলনা আর্টারির মাধ্যমে। কিন্তু মধ্যমায় রক্ত সঞ্চালিত হয় ওই দুই আর্টারির মাধ্যমেই। অক্সিমিটারের ক্ষেত্রে তাই মধ্যমা ব্যবহার করা উচিত।’ |