অনলাইনে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত কেনা যাবে গরু
|
![]() মুক্তধারা ডেস্কঃডিজিটাল কোরবানি হাটকরোনা মহামারী থেকে সুরক্ষা পেতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুসারে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের অধীনে চালু হলও ডিজিটাল কোরবানির হাট। ঈদের আগের দিন পর্যন্ত এই হাট থেকে গরু কেনা যাবে বলে জানিয়েছেন আয়োজক কর্তৃপক্ষ। রোববার (৪ জুলাই) জুম অনলাইনে অনুষ্ঠিত আনুষ্ঠানিকভাবে অনলাইনে গরু কেনার এই হাট উদ্বোধনকালে এসব তথ্য জানানো হয়। এছাড়াও কসাই-সেবার বুকিং চালু থাকবে ১২ জুলাই পর্যন্ত এই সেবার পরিসীমা ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ মেট্রোপলিটন এলাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে। গরু ডেলিভারি সেবার বিস্তৃতি হবে সংশ্লিষ্ট ক্রেতা যে যে এলাকায় ডেলিভারি দিতে পারবেন তার উপর নির্ভর করবে বলেও জানান আয়োজকরা। জুম অনলাইনে অনুষ্ঠিত এই ডিজিটাল কোরবানি পশুর হাট উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, সরকারী সেবাগুলো দিনে দিনে আধুনিক হচ্ছে এবং সেটির সুফল মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে যাচ্ছে। করোনা মহামারী থেকে সুরক্ষা পেতে মানুষ বড় ধরনের একটা সহযোগিতা পাবে অনলাইনে পশু ক্রয়ের মাধ্যমে। এসময় মন্ত্রী নিজে ১ লক্ষ ৪৮ হাজার টাকা দামের একটি গরু ক্রয়ের মাধ্যমে ডিজিটাল হাট এর উদ্বোধন ঘোষণা করেন। ![]() অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তফা জাব্বার বলেন, আজকের ডিজিটাল বাংলাদেশের ডিজিটাল সেবা কোরবানি গরু বিক্রি পর্যন্ত প্রসারিত হয়েছে। বাংলাদেশের মানুষ যে প্রযুক্তিকে গ্রহণ করতে পারে তার একটা দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে এই ডিজিটাল গরু হাট। জীবনের সকল ক্ষেত্রে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে আমরা ক্রমশ এগিয়ে চলেছি। বাংলাদেশের এই উন্নতি আজ অনুসরনীয়। মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী শম রেজাউল করীম বলেন, দেশে ৪১ কোটি গবাদিপশু রয়েছে এবং ১ কোটি ১৯ লক্ষ পশু কোরবানির জন্য প্রস্তুত আছে। বিগত বছরের ন্যায় এবারো দেশের বাইরে থেকে গরু আমদানির প্রয়োজন নেই। চামড়া সংরক্ষণ ও পরিবেশ সুরক্ষার জন্য বিজ্ঞানসম্মত ও আধুনিক কসাইখানা তৈরির উদ্যোগ নেবে সরকার। ঢাকা সিটি কর্পোরেশন মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, অনেকগুলো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে এই ডিজিটাল হাট বাস্তবায়ন করতে হচ্ছে। এর সঠিক বাস্তবায়ন এর জন্য আমরা সরকারী এবং বেসরকারি পক্ষসমূহকে যুক্ত করেছি। ক্রেতা ও বিক্রেতার আস্থা ও নিরাপত্তা বিধানের জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয় একটি গাইডলাইন তৈরি করে দিয়েছে এবং বাংলাদেশ ব্যাংক ও একশপ এর মাধ্যমে আর্থিক নিরাপত্তার বিষয়টাও অন্তর্ভুক্ত করছি। তিনি এবার ১ লক্ষ মানুষ অনলাইনে গরু ক্রয় করবে বলে আশা প্রকাশ করেন। ডিএনসিসি’র ব্যবস্থাপনায় ১ হাজার গরু স্লটারিং সেবা দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে তিনি জানান। ![]() তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ই-কমার্স দিন দিন জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। যেহেতু সরকারী বেসরকারি সক্ষমতা ও দক্ষতা একসাথে যুক্ত হয়ে কাজ করছে। সেহেতু এখানে ক্রেতা বিক্রেতার জন্য নিরাপদ পদ্ধতি মনে হচ্ছে। এই সেবার সাথে যতবেশী মানুষকে যুক্ত করা যাবে ততই ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে যাবে। আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ডিজিটাল সেবার কারণে দেশ বদলে যাচ্ছে। ১০ কোটি মানুষ মোবাইল ব্যাংকিং করছে। সারাদেশে শিক্ষার্থীরা অনলাইনে শিক্ষা গ্রহণ করছে। ইতোমধ্যে প্রতিটি জেলায় কোরবানি পশু বিক্রির প্লাটফর্ম তৈরি হয়েছে। সব প্লাটফর্মকে একই সূত্রে গেঁথে মানুষকে জানিয়ে দিতে হবে। তিনি ডিজিটাল কোরবানি হাটে অভিযোগ আসলে তা দ্রুত সমাধানের জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের অনুরোধ জানান। এসময় জুনাইদ আহমেদ নিজেও একটি গরু ক্রয় করেন। এটিকে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মাঝে বিতরণ করার ঘোষণা দেন তিনি। ![]() অনুষ্ঠানে জানানো হয়, গতবার ৪৫টি মেম্বারসহ মোট ৬০ জন মার্চেন্ট এবং এবার ই-ক্যাব ও ডেইরী ফার্ম এসোসিয়েশন মিলে ১০০’রও বেশী মার্চেন্ট । গতবছর দেশব্যাপী ২৭ হাজার গরু বিক্রি হয়েছে। কিন্তু এবার তা আরো অনেক বাড়বে। বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিল, এটুআই-একশপের সহায়তায় এবারের হাট বাস্তবায়নে কাজ করছে ই-কমার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশ ডেইরী ফার্ম এসোসিয়েশন। ই-ক্যাবের প্রেসিডেন্ট শমী কায়সারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো যোগ দিয়েছিলেন, আইসিটি সচিব এনএম জিয়াউল আলম, ডব্লিওটিও সেলের মহাপরিচালক হাফিজুর রহমান, বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আহমেদ জামাল, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন এর নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম রেজা , এটুআইয়ের একশপের টিম লিড রেজওয়ানুল হক জামি, বাংলাদেশ ডেইরী ফার্ম এসোসিয়েশন এর সভাপতি মোহাম্মদ ইমরান হোসেন, ই-ক্যাবের জেনারেল সেক্রেটারি মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াহেদ তমাল ও দারাজ, মাস্টারকার্ডসহ কয়েকটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা। |