সমুদ্রসম্পদ আহরণে পিছিয়ে বাংলাদেশ
|
![]() মুক্তধারা ডেস্কঃ সমুদ্র সীমানা বিরোধ নিষ্পত্তির ছয় বছর পেরিয়ে গেলেও সমুদ্র সম্পদ আহরণে পিছিয়ে বাংলাদেশ। অন্যদিকে প্রতিবেশী দেশ ভারত, মিয়ানমার ও শ্রীলঙ্কা তাদের সমুদ্র সম্পদ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে যুক্ত করছে। তেল ও গ্যাসসহ মূল্যবান খনিজসম্পদ তুলছে তারা। পক্ষান্তরে বাংলাদেশ এখনও পরিকল্পনার মধ্যেই আটকে আছে। সমুদ্রসীমার ৮০ ভাগ এলাকার নীল জলরাশির তলদেশে কী বিশাল সম্পদ লুকিয়ে আছে, তা এখনও পুরোপুরি আবিষ্কার করতে পারেনি বাংলাদেশ। বাংলাদেশের সঙ্গে সমুদ্রসীমা বিরোধ নিষ্পত্তির পর ভারত, মিয়ানমার ও শ্রীলঙ্কা তাদের সমুদ্র সম্পদের ব্যবহার শুরু করেছে। মিয়ানমার তাদের গ্যাস বস্নকগুলোতে অনুসন্ধান চালিয়ে গ্যাসের সন্ধান পেয়েছে। ‘থালিন-এক’ নামক বস্নকে প্রায় পাঁচ ট্রিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস প্রাপ্তির ঘোষণা দিয়েছে মিয়ানমার। ওই বস্নক থেকে গ্যাস উত্তোলন শুরু করেছে মিয়ানমার। সমুদ্র সম্পদ অনুসন্ধানে হাত গুটিয়ে বসে নেই ভারত। বঙ্গোপসাগরের ভারতীয় অংশের কৃষ্ণা-গোদাভারী বেসিন এলাকায় ভারতের সরকারি প্রতিষ্ঠান ওএনজিসি, গুজরাট এস্টেট পেট্রোলিয়াম করপোরেশন, বেসরকারি গ্রম্নপ রিলায়েন্স কোম্পানির অনুসন্ধানে প্রায় ৫০ ট্রিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস মজুদের আশা করছে ভারত। পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, শুধু দৃষ্টিভঙ্গির কারণেই বিশাল সমুদ্রসীমা জয়ের পরও বস্নু ইকোনমির সুফল বাংলাদেশ পাচ্ছে না। ২৫টি মন্ত্রণালয় এবং সংস্থার সমন্বয়ে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে ‘বস্নু-ইকোনমি সেল’ গঠন করা হয়েছে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেন, পর্যাপ্ত জাহাজ ও উন্নত প্রযুক্তির অভাবে সমুদ্রসীমার ৬শ’ কিলোমিটারের মধ্যে মাছ ধরা হয় মাত্র ৬০ কিলোমিটারে। দেশের সমুদ্রসীমায় আশি লাখ টন মাছের মজুত থাকলেও দেশের জেলেরা ধরে মাত্র সাত লাখ টন মাছ। সমুদ্রে মাছ আহরণ বাড়াতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় একটি প্রকল্প জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় উপস্থাপনের জন্য পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পেলে ২০২২ সালের মধ্যে ‘টেকসই উপকূলীয় ও সামুদ্রিক মৎস্য আহরণ’ শীর্ষক প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে মৎস্য অধিদপ্তর। |