দামুড়হুাদায় সারা বছর চাষের আওতায় আনা হয়েছে কৃষিজমি
|
![]() মুক্তধারা ডেস্কঃ চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় বছরে দুটি ধান চাষের পর চার মাস চাষহীন পড়ে থাকা ২০০ বিঘা জমি সারা বছর চাষের করতে প্রস্তুত কৃষকরা। বছরজুড়ে একটার পর একটা ফসল ফলানোর কাজে তাদের উদ্বুদ্ধ করেছে দামুড়হুদা কৃষি অফিস ও সেচ কমিটি। তবে চলতি মরসুমে সরিষার আবাদ করতে বীজ না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়েছেন সেচের আওতায় থাকা কেশের মাঠে চাষ করা কৃষকরা। দেশের কোথাও এক ইঞ্চি জমি পতিত থাকবে না- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এমন ঘোষণা থাকায় উপজেলা কৃষি অফিসের উদ্যোগে ও সেচ কমিটির সহায়তায় বছরে দুটি ধান চাষ হওয়ার পর চার মাস কোনো ফসলের চাষ হতো না এই ২০০ বিঘা জমিতে। দামুড়হুদা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, দামুড়হুদার হাউলি ১নং সেচ পাম্পের আওতায় ২০০ বিঘা জমিতে কৃষকরা বোরো ধান চাষের পর আমন ধানের চাষ করতেন। বোরো ধান ৯০ দিনের ফসল হলেও আমন ধান চাষে সময় লাগে বেশি এবং ফলনও কম। সময় বেশি লাগায় দুটি ধানে বছরের ৯ মাস পেরিয়ে যায়। ফলে কৃষকরা ওই জমিতে আর অন্য কোনো চাষ করতে পারেন না। ফলে চার মাস চাষবিহীন পড়ে থাকে কৃষিজমি। এমন অবস্থায় দামুড়হুদা কৃষি অফিস ওই সেচ কমিটির সভাপতি ইসমাইল হোসেন ও ম্যনেজার আজিজুল হকের সাথে পরামর্শ করে সেচের আওতায় বোরো ধানের পর আমন ধানের পনিবর্তে উচ্চ ফলনশীল স্বল্প দিনের আবাদ ব্রি-৪৮ ধানের আবাদ করানোর পরামর্শ দেন। পরে কৃষি অফিসের কর্মকর্তারা ও সেচ কমিটিসহ কৃষকদের নিয়ে মতবিনিময় সভা করা হয়। করে ব্রি-৪৮ জাতের ধান চাষ করার পরামর্শ দেওয়া হয়। এতে করে চাষীরা লাভবান হবেন। এখন একই মরসুমে সরিষার আবাদ করা সম্ভব হবে। ফলে বছরের ৪ মাস জমি পড়ে থাকবে না। এসময় চাষিদেরকে উদ্বুদ্ধ করতে ২০০ জন কৃষককে ৫ কেজি করে উক্ত ধানের বীজ প্রনোদনা দেওয়া হয়। এই ধান কাটার পর চষিদেরকে সরিষার বীজ দেওয়ার চেষ্টা করা হবে বলে জানানো হয়। দামুড়হুদা উপজেলা কৃষি অফিসার মনিরুজ্জামান বলেন, দামুড়হুদার হাউলি ১নং স্কিমের আওয়ায় বোরো ও আমন ধান চাষ করার কারণে ওই মৌসুমে অল্প সময় অবশিষ্ট থাকায় আর অন্য কোনো ফসল করার মতো সময় থাকত না। ফলে আমন ধানের পরিবর্তে ব্রি-৪৮ ধান চাষ করলে চার মাস সময় পাওয়া যায়। এই সময়ে জমিতে সরিষা চাষ করার মত সময় থাকে। বাড়তি একটি ফসল ঘরে উঠলে কৃষকরা লাভবান হবেন।এই কারণে চাষিদেরকে উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে। সরিষা বীজ বিষয়ে কৃষি অফিসার বলেন, এডিবির অর্থের ১৫ শতাংশ কৃষি খাতে পাওয়ার কথা। উপজেলা পরিষদে সভায় বীজের কথা বলা হয়েছে। পরিষদ থেকে বরাদ্দ পেলে চাষিদেরকে সরিষা বীজ দিয়ে সহায়তা করা হবে। এক নাম্বার সেচ কমিটির সভাপতি ইসমাইল হোসেন বলেন, কৃষি অফিসের সাথে পরামর্শ করে চাষিদেরকে উচ্চ ফলনশীল ব্রি-৪৮ ধানের চাষ করানো হয়েছে। এখন সরিষা চাষের সময়। চাষিরা কৃষি অফিস থেকে বীজের সহায়তা পেলে ২০০ বিঘা জমির মধ্যে প্রায় ১৮০ বিঘা জমিতে সরিষা আবাদ হবে। |