মোহনায় জালের বিস্তার, বাড়ছে না নদীর ইলিশের আমদানি
|
![]() মুক্তধারা প্রতিবেদকঃ বরিশাল: বরিশালের মোকামগুলো এখন ইলিশে ভরপুর। তবে সাগরের ইলিশ প্রচুর পরিমাণে থাকলেও বাড়ছে না নদীর সুস্বাদু ইলিশের আমদানি। বাজারঘুরে দেখা যায়, নদীর চেয়ে সাগরের ইলিশের আমদানি অনেক বেশি। যদিও ধরার পর স্বল্প সময়ের মধ্যে বিক্রি হওয়ায় কিছুটা সতেজ থাকা নদীর ইলিশের কদর স্থানীয়ভাবে অনেক বেশি। আর স্থানীয়ভাবে চাহিদা থাকায় সাগরের চেয়ে নদীর ইলিশের দাম আকারভেদে ৫০-১শ টাকা কেজিতে বেশি হাঁকা হচ্ছে। তবে আগামী সপ্তাহে সাগরের ইলিশের আমদানি আরো বাড়ার সম্ভাবনা থাকলেও নদীর ইলিশের আমদানি বাড়ার কোনো সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে মৎস্য বিভাগ। জেলা মৎস্য অফিসের কর্মকর্তা (হিলসা) বিমল চন্দ্র দাস বলেন, এখন ডালা জো’র কারণে মাছের আমদানি কিছুটা কমেছে। জো শুরু হলে আগামী সপ্তাহের রোববারের পর মাছের আমদানি বাড়বে এবং দরও কমবে। তবে আবহাওয়া খারাপ না হলে নদীর ইলিশের আমদানি বাড়ার কোনো সম্ভাবনা নেই জানিয়ে তিনি বলেন, সাগর ও নদীর মোহনায় প্রচুর পরিমাণে জাল ফেলে রেখেছেন জেলেরা। ফলে সাগরের ইলিশ ঝাঁকবেঁধে নদীতে আসতে পারছে না। তিনি বলেন, এখন দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের জেলেরা উপকূলীয় এলাকায় সাগর-নদীর মোহনায় চলে গেছেন। কোনো বাঁধা নিষেধ না থাকায় সেখানে সব এলাকার মানুষ এখন ইলিশ শিকার করছেন। মোহনায় জাল ফেলায় সেখানেই ইলিশগুলো ধরা পড়ছে। দেশের ভেতরের নদ-নদীতে আসতে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এভাবে মোহনায় জাল না ফেলা হলে বর্তমান সময়ে দেশের অভ্যন্তরেও ইলিশ পাওয়া যেত। কিন্তু মোহনায় জাল ফেলতে নিষেধ করার সুযোগও নেই। তিনি বলেন, আবহাওয়া খারাপ হলে জেলেরা মোহনায় জাল ফেলতে পারবে না, সবাই ফিরে আসবে। আর তখন ইলিশগুলো দেশের নদীতে অবাধে প্রবেশ করতে পারবে। নয়তো সামনের প্রজনন মৌসুমের নিষেধাজ্ঞার সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। কারণ ইলিশগুলো নদীতে ডিম ছাড়তে আসবেই। আর তখন নিষেধাজ্ঞা শেষে নদীর ইলিশের দেখা মিলবে। |